স্থানীয় প্রতিনিধি:
দিনের পর দিন তিনি সবার সামনে বসে প্রকাশ্যে দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। ভৈরবের সকল ভুমিদূস্যদের সাথে মিলে উনি দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। তিনি হচ্ছেন ভৈরবের ভূমি অফিসের নায়েব সাহেব আব্দুল হেকিম।
যেই দল বা প্রশাসনই ক্ষমতায় আসুক না কেন , প্রত্যেক দলের মধ্যেই কিছু ভূমি দস্যু থাকে আর এসব লোকদেরকে কাজে লাগিয়ে তিনি করে যাচ্ছেন বছরের পর বছর দুর্নীতি। টাকার বিনিময়ে দিয়ে দিচ্ছেন অনেক ভুয়া নামজারি এবং যার বেশির ভাগ ভুক্তভোগী আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা।
তার কাছে গেলে ১১০০ টাকার নামজারী করতে লাগে ১১ হাজার টাকা। অনেক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও রহস্যময় কারনে ভৈরব বাজার থেকে সরানো হয়নি তাকে। কিন্তূ কেনো ? এসব অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, আব্দুল হেকিমের সকল দুর্নীতির টাকা লেনদেন শুরু হয় সন্ধ্যা ৬ টার পর। দেখা যায় সকল দলের বড় বড় ভূমিদস্যুদেরর তার অফিসে আনাগুনা। সরাসরি টাকা বা ঘুষ নেয়া হারাম হবে বলে অনেক ক্ষেত্রে উনি আবার এসব ভুয়া খারিজদারের সাথে পার্টনারশিপ বা শেয়ারে চলে যান। যেমন খারিজ করার পর জমিটা যখন ভূমি দস্যুরা বিক্রি করে দেয় তখন উনাকে পার্সেন্টেজে ভাগ দিতে হয়।
ভৈরব বাজারের অসংখ্য ব্যক্তির সাথে কথা বলে আব্দুল হেকিমের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আব্দুর রহিম (ছদ্দনাম) নামক এক ব্যক্তি জানান, তিনি তার ১২ শতাংশ জায়গার নামজারি করতে গেলে তাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে অবশেষে ১২ হাজার টাকার বিনিময়ে তার কাজ করে দেন আব্দুল হেকিম।
তাকে অতি শীগ্রই ভৈরব থেকে প্রত্যাহার করে আইনের আনা প্রয়োজন বলে দাবী করেন এলাকাবাসী। না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে বলে জানায়।